র্যাব-৪-এর এএসপিসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মামলা গ্রহণের উপাদান না থাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত তা খারিজের আদেশ দেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করব।
এরআগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন স্বপ্না আক্তার নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছিলেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- র্যাব-৪ এর এএসপি উনু মং মারমা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস মনির, র্যাব- ৪ এর পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সোবহান, এসআই মো. কাওসার ও ক্যা হ্লা চিং মারমা, ডিএডি মো. ইফতেখার, এসআই জাহিদুল ইসলাম কবির, এএসআই অমর কুমার দাস, নায়েক হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আরাফাত, ল্যান্স নায়েক সেলিনা আক্তার, শেরে বাংলানগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, এসআই হাফিজুর রহমান, ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জিত রায়, একই থানার এসআই আজিজ শেখ, কনস্টেবল আবুল কালাম ও রোজিনা বেগম, ফরিদা বেগম, উইং কমান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) নাসির উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা-১৭ আসনের এমপির পিএস শিপন, অনলাইন রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, আরিফুর রহমান রঞ্জু, আজাদুর রহমান আজাদ, মহিউদ্দিন বাবু, কাইয়ূম হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী শুভ, আলমগীর হোসেন, ইমরান মাহমুদ চঞ্চল, রাকিবুজ্জামান, ড. এবিএ সাইফুল ইসলাম, হবি, ইদ্রিস আলী, সুফিয়া, মুনমুন ইসলাম, ওয়াকিল উদ্দীন, মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল কালাম আজাদ, টিপু খান, হান্নান, নিসান ও মুন্নাফ।
বাদিপক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান জানান, অনলাইন রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এ ঘটনার মূলহোতা। বাদি তার কাছে ৬৮ লাখ টাকা পান। টাকা যেন ফেরত দিতে না হয় এজন্য তিনি এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। লকডাউন চলাকালে গত বছরের ২০ মে বাদি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ছিলেন। আখতারুজ্জামান ষড়যন্ত্র করে পুলিশ দিয়ে তাকে সেখান গ্রেপ্তার করান। এরপর ঢাকায় এনে তার বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে হিরোইন, ইয়াবা উদ্ধারের মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় দুটি মামলা দেয়। পরে আসামিরা তার কাছ থেকে দুই দফায় ১২ লাখ ও সাড়ে চার লাখ টাকা চাঁদা নেন এবং তার ২০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যান।