নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সোনাকান্দায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় শনিবার দুপুরে নাঈমা রহমান (৩৭) নামে এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময়ে নাঈমা রহমান ছাড়া বাসায় আর কেউ ছিল না। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় ।
নিহত নাঈমা রহমান থাইল্যান্ড প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী। ছেলে নাফিজ রহমান (৮) ও মেয়ে আনুশী রহমানকে (১৫) নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় বসবাস করতেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি ধারালো মাছ কাটার বটি, ১টি ম্যানিব্যাগ এবং ম্যানিব্যাগের ভিতরে একটি ছবি ও ১টি সিগারেট উদ্ধার করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে মানিব্যাগে রক্ষিত তথ্য পুলিশ গোপন রেখেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার সরদার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর মেয়ে স্কুল ছাত্রী আনুশি জানান, প্রতিদিনের মত আমি ১১টায় স্কুলে চলে যাই। স্কুল ছুটি শেষে দুপরে ফ্লাটের তালা খুলে দেখতে পাই আমার মা মেঝেতে পড়ে আছে, তার শরীরে আগুন। আমি সাথে সাথে পানি ঢেলে আমার মায়ের শরীরের আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নাঈমা রহমানকে হত্যা করে লাশে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার মেয়ে বাসায় ঢুকে মায়ের শরীরে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। পুলিশকে জানালে বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বন্দরের সোনাকান্দা সরদার বাড়ির সিঙ্গাপুর প্রবাসী আসিনুর রহমানে স্ত্রী নাহিদা রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে লাশে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার মেয়ে বাসায় ঢুকে মায়ের শরীরে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। এর আগেই নাহিমা রহমানের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
তিনি জানান, হত্যাকারীকে গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে অচিরেই হত্যাকারী গ্রেফতার হবে ও এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।