মাঠে খুবই পেশাদারিত্বের পরিচয় দেন সাকিব আল হাসান। অনেক আবেগও তিনি স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় প্রকাশ করেন। আর বল হাতে বা ব্যাট হাতে যখন কোন বোলার বা ব্যাটম্যানের উপর চড়াও হন তখন সাকিবের মতো এত নিষ্ঠুর (প্রতিপক্ষের কাছে) কেউ হতে পারেন না। সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক কিংবা ঘরোয়া ম্যাচ হোক।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার ব্যতিক্রম একটি দৃশ্যেরই সাক্ষী হল ক্রিকেটভক্তরা। এদিন সিলেটের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।
সাধারণত এসব ক্ষেত্রে ব্যাট উঁচু করেই উদযাপনটা সারেন সাকিব। সেই উদযাপনে কোন বাড়তি আতিশয্য থাকে। কিন্তু এদিন দেখা গেল ফিফটি করেই মাঠে সেজদা দিয়ে তা উদযাপন করছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক। কেন সাকিব মাঠে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে সিজদা দিলেন?
ম্যাচ শেষে অবশ্য তা জানা যায়নি। কারণ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার প্রতিনিধিত্ব করেন নুরুল হাসান সোহান। তবে বিষয়টি পরক্ষণেই জানা যায় দলের ম্যানেজার আজম ইকবালে কাছ থেকে।
অবশ্য পরে ঢাকার ম্যানেজার আজম ইকবাল খোলাসা করেন বিষয়টি। এর আগে বিপিএলে সাকিব সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরিটি করেছেন ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৫৯ করেছিলেন সাকিব। তারপর কেটে গেছে ৬টি বছর। বিপিএলে হাফ সেঞ্চুরি পাননি সাকিব।
আজম ইকবালের কথায়, ‘সাকিবের সাথে আমারও কথা হয়েছিল। ঢাকা প্রথমবার (আসলে দ্বিতীয়বার) যেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সে বছর মনে হয় সে ফিফটি করেছিল। গত দুই বছরে (আসলে তিন আসরে) ওর ফিফটি ছিল না। এই জন্য ওর উদযাপনটা।’
অথচ সাকিব এই ছয় বছরে মাঝে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ১১টি ফিফটি করেছেন, কোনোটিই বিপিএলে নয়। এর মধ্যে ছয়টিই এসেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। তাই বিপিএলে ছয় বছর পর হাফ সেঞ্চুরি করায় মাঠেই সিজদা করেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার।
এর আগে কখনোই সাকিব মাঠে সেজদা করেননি। তাই তার এই সেজদা করা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
এদিন সাকিবের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে টেবিলের শীর্ষ দলটি। সাকিব ৪১ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।