সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে কটুক্তি, করোনার টাকা আত্মসাত, হাসপাতালের স্টাফ, রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে অসদাচরনের অভিযোগ এনে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সোহেলি শারমিনের অপসারন দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলার ওভার ব্রীজ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা। কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি তুলে নেয়া হয়। ডা.সোহেলি শারমিনের অপসারন সহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে হুশিয়ারী দেয়া হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোহাম্মদ ইউনূস আলী শেখ বলেন, যুদ্ধকালীন সাব-সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর আফসার উদ্দিন। তার ছেলে হচ্ছে সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু সারা জীবন সততার সাথে রাজনীতি করে আসছে। তার গায়ে কোন কলঙ্কের দাগ নেই। এমন একজন সৎবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ডা.সোহেলি শারমিন। এটি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তার অপসারন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বনা। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাকে অপসারন না করা হলে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সোহেলি শারমিন যোগদানের পর থেকে হাসপাতালকে ঘুষের স্বর্গরাজ্য করে তুলেছে। সাধারন মানুষকে সে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। রোগীদের সাথেও খারাপ আচারন করে। এসব বিষয়ে আমাদের এমপি প্রতিবাদ করায় ডা.সোহেলি শারমিন তার বিরুদ্ধে নানা ভাবে অপপ্রচার করছে। লোকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ কিছু পত্রিকায়ও সংবাদ প্রচার করিয়েছে এমপির বিরুদ্ধে। এ অবস্থার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু ভালুকার মাটি ও মানুষের নেতা। সার্বক্ষণিক সাধারন মানুষের দু:খ দুর্দশা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির কথা বলায় ডা.সোহেলি শারমিন তার পিছু লেগেছে। নানা ভাবে অপপ্রচার করছে। তাই আমরা ডা.সোহেলি শারমিনের অপসারন সহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছি।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সোহেলি শারমিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে ময়মনসিংহে তার হাসপাতাল সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছে মানুষকে। একটি পক্ষ তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় তার বিরুদ্ধে লেগেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে তিনি ভালুকায় থাকবেন না হয় চলে যাবেন।