বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলজাজিরার প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তাকারী সামিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে এ আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। আবেদনের এখনও শুনানি হয়নি।
মামলার বাদী মশিউর মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আলজাজিরায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটি বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে সরকার।
সেনাসদর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলজাজিরার প্রতিবেদনটিতে সামি নামের যে ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তার প্রকৃত নাম সামিউল আহমেদ খান’। পিতা লে. কর্নেল মরহুম আব্দুল বাসিত খান (অব.)। সামিকে ইতিপূর্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মিলিটারি পুলিশ চুরি, সেনাবাহিনীর অফিসারের পোশাক এবং ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রতারণার অপরাধে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এসব অপরাধের দায়ে ২০০৬ সালে তাকে বাংলাদেশের সব সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সামিউল আহমেদ খান বর্তমানে ‘জুলকারনাইন সায়ের খান’ (বর্তমান পাসপোর্ট নম্বর ইজি০০৯২৯০২, পূর্বের পাসপোর্ট নম্বর বিজে০৫২০২৬০, এসি৫০৭৫৬৪৭, এবং বি১৭৬৫৬৪৯) নাম ধারণ করে এবং তার পিতার নাম কর্নেল ওয়াসিত খান ব্যবহার করে ভুয়া পরিচয়ে পলাতক অবস্থায় হাঙ্গেরিতে বসবাস করছেন।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক অর্থলোভী এবং জালিয়াত সামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় গত বছরের ৫ মে মামলা হয়, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আলজাজিরায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনকে ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন এবং অশুভ অভিপ্রায় উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনা সদর দপ্তর।