ট্রাম্প প্রশাসনে আরেক মুসলিমবিদ্বেষী

মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত আরে ব্যক্তিকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়োগের নিন্দা জানিয়েছে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় ও নাগরিক অধিকার কর্মীরা।

গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন চালর্স এম কুপারম্যান। নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন তিনি। কুপারম্যান প্রায় এক দশক একটি মুসলিমবিদ্বেষী সংস্থার কর্মকর্তা ছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিকে প্রশাসনের যুক্ত করায় আবারো সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।

সরকারি নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসি(সিএসপি) নামের একটি সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সদস্য ছিলেন। এই সংস্থাটি একটি মুসলিম বিদ্বেষী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত- এমনটাই জানিয়েছে আলবামা ভিত্তিক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য সাউদার্ন পোভার্টি ল’ সেন্টার(এসপিএলসি)’। সংস্থাটি জানায়, এই গ্রুপটি মুসলিম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উৎসাহিত করে সব সময়। তাদের অভিযোগ, মুসলিমরা মার্কিন সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ করছে এবং তারা দেশতে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠান করতে চায়।

কাজেই এমন লোকের প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগে ফেলেছে মুসলিমদের।

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স(সিএআইআর) ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কুপারম্যানের নিয়োগ বাতিল করতে। সংস্থাটির পরিচালক রবার্ট ম্যাককাও বলেছে, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে অগ্রাধিকারে যখন ইসলামভীতিকে আনা হচ্ছে তখন আরো একবার এই উদাহরণ সামনে এলো যে, ট্রাম্প শিয়ালকে মুরগির ঘরে ঢুকাচ্ছেন।’

ম্যাককাও বলেছন, কুপারম্যানের নিয়োগ অবশ্যই বাতিল করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে তার মতো লোকের কোন স্থান থাকতে পারে না।

কুপারম্যান যে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক প্রভাব রাখতে যাচ্ছেন তা বোঝা গেছে ইতোমধ্যেই। বর্তমান নিরাপত্তা উদেষ্টার ওপর তার অনেক প্রভাব। কুপারম্যানের নিয়োগ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, ‘৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি(কুপারম্যান) আমার উপদেষ্টা ছিলেন। এমনকিও আমি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আসার পরও’।

এছাড়া নিরাপত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের শীর্ষ পদেও ছিলেন তিনি। গত শতাব্দীর আশির দশকে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের প্রশাসনের সাথে কাজ করেছেন এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top