তাবলিগের চলমান সঙ্কট নিরসন ও নিজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিতর্কিত বক্তব্য বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের অবস্থান জানতে প্রতিনিধিদলের ভারত সফরের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারত যাওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও নানা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত যেতে পারেনি প্রতিনিধিদল।
এদিকে আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভারত যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সবার ভিসা এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্য ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনিছুর রহমান। সবার ভিসা হওয়ার পর দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাবলিগের চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে মাওলানা সাদের ব্যাপারে দারুল উলুমের সিদ্ধান্ত জানতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি প্রতিনিধিদলকে দেওবন্দ পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে এ প্রতিনিধিদলে ৬ জন থাকলেও পরে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে।
গত ১৪ জানুয়ারি এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দেওবন্দ সফরকারী প্রতিনিধিদলে রয়েছেন : বর্তমান সরকারের নতুন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, ধর্মসচিব মো: আনিছুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি মো: মনিরুজ্জামান, যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, তাবলিগ জামাতের আহলে শূরা মাওলানা রবিউল হক ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা আশরাফ আলী, মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক ও ইকরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাদরুদ্দিন মাকনুন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিনিধিদলের মধ্যে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী, ধর্মসচিব ও পুলিশের এডিশনাল ডিআইজির সফর খরচ সরকার বহন করবে। বাকি সদস্যরা নিজেরা তাদের খরচ বহন করবেন।
জানা যায়, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বর্তমানে দেশে তাবলিগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে সংঘর্ষ এড়াতে এ বছর এখনো ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। প্রতিনিধিদল ভারতের দেওবন্দ দারুল উলুম সফর করে আসার পর ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের কথা রয়েছে।