আজ কৃষিবিদ দিবস। বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্ত¡রে কৃষিবিদ দিবস-২০২১ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১০০ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় কেক কাটেন কৃষিবিদ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বাকৃবি প্রশাসন ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্ত¡রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ,সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ময়মনসিংহ সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।এক সময়ের দূর্ভিক্ষের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশ আজ খাদ্যশস্য, মৎস্য এবং প্রাণিজসম্পদ উৎপাদনে বিশে^ রোল মডেল। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি কমে যাওয়া সত্তে¡ও ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কৃষিতে এই অসামান্য অগ্রগতিতে দেশের কৃষিবিদ ও কৃষকদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কৃষিবিদরা উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে কাজ করছে। যা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।
এসময় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং বরিশালের ইউনির্ভাসিটি অব গেøাবাল ভিলেজের উপাচার্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খানকে একুশে পদক-২০২০ প্রাপ্তির জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ (মরণোত্তর) অর্জন করায় বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ন ম নাজমুল আহসানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অবিস্মরণীয় শত উক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়।