বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হালুয়াঘাটের পাহাড়ি স্পটগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার হলেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দে মাতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ভ্রমণ পিপাসুরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গারো পাহাড়ের কড়াইতলী, গোবরাকুড়া কয়লা ডিপো, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল অ্যাকাডেমি রাংরাপাড়া এবং নতুন পর্যটন স্পট গাবরাখালীতে ভ্রমণ পিপাসুরা বন্ধু-বান্ধব এমনকি পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পিকনিক স্পটের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ সেলফি তুলছেন। কেউ বা আবার প্রিয়জনের ছবি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দী করছেন। শিশুদের পদচারণাও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের স্পটগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পৌর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়। ওই পাহাড় ঘেরা গাজিরভিটা ইউনিয়নের গাবরাখালী গ্রামে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘গাবরাখালী গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র’। অপার সম্ভাবনাময় এ পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা।
ময়মনসিংহ থেকে আসা দর্শনার্থী শাহরিয়ার বলেন, করোনায় দীর্ঘ দিন ঘরবন্দী থাকার পর শুক্রবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে খুব আনন্দ লাগছে।
আশা করা যায়, ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় এ সেক্টরটি থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করে এর উন্নয়নকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমনি মনে করছেন অনেকেই।