কিশোরগঞ্জে হাজতি খুনের ঘটনায় মামলা

Case-মামলাকিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতি সাইদুর মিয়ার হাতে আরেক হাজতি ঘুমন্ত আব্দুল হাই নিহতের ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১-এর জেলার নাশির আহমেদ বাদী হয়ে সাইদুর মিয়াকে একমাত্র আসামি করে মঙ্গলবার রাতে এ মামলা করেন।

ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কারাগারের ভেতর হত্যাকাণ্ডের শিকার আব্দুল হাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে। মাদকাসক্ত ছেলেকে সংশোধনের জন্য বাবা নিজেই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। গত ৫ জানুয়ারি আব্দুল হাইকে আটকের পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘাতক সাইদুর মিয়া জেলার তাড়াইল উপজেলার কালনা মাইজপাড়ার ইসমাইল মিয়ার ছেলে।

২০১৭ সালের ৫ জুলাই ভৈরবে মুক্তিপণের দাবিতে শিশু অপহরণের ঘটনায় মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমন্ত আব্দুল হাই ও মো. জাহাঙ্গীরকে বাথরুমের দরজার কাঠ ভেঙে পেটাতে থাকে সাইদুর মিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুল হাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মো. জাহাঙ্গীর বর্তমানে কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে, ঘটনা তদন্তে আইজি প্রিজন ও জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের পৃথক কমিটি গঠন করেছে। আইজি প্রিজন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলামকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন নেত্রকোনার জেল সুপার আব্দুল কুদ্দুস ও মানিকগঞ্জের জেল সুপার বিকাশ রঞ্জন। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসউদকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।

Share this post

scroll to top