আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মত নিজের নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ ৫- মুক্তাগাছা আসনের এমপি কে এম খালিদ।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিচারপতি শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এসে প্রতিমন্ত্রী তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহের সাবেক এমপি এম এ হান্নান আমাকে তুলে নিয়ে যান। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। এসব কথা বলতে বলতে কে এম খালিদ আবেগাপ্লুতত হয়ে পড়েন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের খলিলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহে শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ-৭) ত্রিশালের জাতীয় পার্টির এমপি এম এ হান্নান।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এম এ হান্নান ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা শহরের অন্যতম ব্যক্তি। তিনি ছিলেন শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তার স্থায়ী ঠিকানা সে সময় শহরতলির খাগডহরে হলেও শহরে তার বাসা ছিল নতুন বাজার এলাকায় প্রধান সড়ক ঘেঁষে বিশাল এলাকাজুড়ে। সে সময় তার নতুন বাজারের বাসাটি ব্যবহার করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যাচার-নির্যাতনের ক্যাম্প হিসেবে। পাকিস্তানি বাহিনীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে জেলা শহরের অন্য নির্যাতন ক্যাম্পের বিষয়গুলোর তদারকিতেও তিনি ছিলেন তৎপর।
এম এ হান্নানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে বেশ কিছু অভিযোগ ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। এগুলো হলো-খাগডহর এলাকার মাইজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান আতাকে নতুন বাজারের বাসায় এনে নির্যাতনের পর হত্যা। এ ছাড়া সরাসরি তারই নির্দেশে অ্যাথলেট শাহেদ আলীকে হত্যা, ভাস্বর্যশিল্পী রশিদকে হত্যা, খন্দকার আলী রতনসহ আরো অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।