ছাগল চুরির অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুরের থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তুহিন দরজি, তাঁর তিন সহযোগী জুবায়ের হাওলাদার, রানা ব্যাপারী, রবিউল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদার। তুহিন দরজি শহরের ইটেরপুল এলাকার বাসিন্দা জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির দরজির ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন গং নিজের প্রাইভেট কারে স্থানীয় লোকমান মালোতের পালিত একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে তাঁরা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। পরে টহল পুলিশকে জানালে পুলিশ গতিরোধ করে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দরজিসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দ ও ছাগল উদ্ধার করা হয়।
ছাগলের মালিক লোকমান মালত বলেন, ঘাস খাওয়ার জন্য বাড়ির পাশের রাস্তার ধারে তিনি ছাগলটিকে বেঁধে রাখেন। হঠাৎ করে একটি সাদা প্রাইভেট কার থেকে এক লোক নেমে তাঁর ছাগলটিকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা ধাওয়া করেন এবং পথিমধ্যে পুলিশ এসে প্রাইভেট কারসহ তুহিনকে ধরে ফেলেন। লোকমান মালত এর বিচার চান।
তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন আটক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দরজি। তিনি বলেন, নিজের প্রাইভেট কারে করে তিনি কাজে যাচ্ছিলেন। মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ তাঁকে ধরেছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, গত দুই মাসে ওই এলাকা থেকে আরও পাঁচটি গৃহপালিত ছাগল খোয়া গেছে। তুহিন ও তাঁর সহযোগীরাই এই চুরির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেইন অনিক বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে তুহিন দরজির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টিতে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ছাগল চুরির অভিযোগে পখিরা এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। কাল শুক্রবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হতে পারে।