ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, তারা জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনের জন্য পুনঃআবেদনের পরিকল্পনা করছেন। গত মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ আবেদন জানানো হবে। জাতিসঙ্ঘে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অন্যতম বৃহত্তম একটি গ্রুপের প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিন আগে আব্বাস এ কথা জানালেন। তিনি বহুত্ববাদের ওপর ‘হামলা’ মোকাবেলা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্বের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তিপূর্ণ সমাধানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
আব্বাস ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার আগে ফিলিস্তিনকে সংস্থার ১৯৪তম সদস্য করার জন্য তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুনের কাছে আবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ৯ সদস্যের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হওয়ায় সেই আবেদন ব্যর্থ হয়েছিল। যদি সেটা পাওয়া যেত, তারপরও ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেয়ার যেকোনো প্রস্তাবে তারা ভেটো দেবে।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াল আল মালকি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জানি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর মুখে পড়তে যাচ্ছি, কিন্তু সেটি আমাদের আবেদন পেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের প্রথম কাজ হচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সাথে আলোচনা করা। এটা মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার।
পূর্ণ সদস্যপদ পেতে ব্যর্থ হওয়ার পরও ফিলিস্তিন ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে যায়, যেখানে কোনো ভেটো ক্ষমতা ছিল না। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেয়ে ২০১২ সালের নভেম্বরে জাতিসঙ্ঘের অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে। এটিই ফিলিস্তিনকে জাতিসঙ্ঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। অবশ্য রাষ্ট্রমর্যাদা, জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্যপদ ইত্যাদি বিষয়ে আব্বাসের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশের জোট গ্রুপ-৭৭ ফিলিস্তিনকে সংস্থার সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু অসদস্য রাষ্ট্র হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হলে ফিলিস্তিনের সাধারণ পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। গত অক্টোবরে এতে আপত্তি তোলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র।