করোনার শুরু থেকেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নির্মল চন্দ্র সাহা তার দপ্তরে আসেন না। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানা রকম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। একাডেমিক সনদপত্র, নম্বরপত্রসহ বিভিন্ন কাগজ উত্তোলন এবং তার দপ্তর সম্পর্কিত নানা ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যে কাজ ১ (এক) ঘণ্টায় করা সম্ভব, সে একই কাজ হতে কয়েক সপ্তাহ চলে যায়। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘আমি তো প্রতিদিনই সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করছি। আমার বাসাই এখন আমার দপ্তর। আপনারা সার্ভিস পেলেই তো হলো। সমস্যা হলো, আমি কাজ করি কিন্তু আমার অফিসাররা কাজ করে না।’
অফিসে সরাসরি এসে কাজ করতে সমস্যা কোথায়, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্টে আমি কোনো দিনই উঠি নাই। এটা আমার স্বভাব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার যদি গাড়ি পেতে পারে, তাহলে আমি কেন পাবো না? বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে একটা গাড়ি দিতে না পারলে আমি কী করবো।’
বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা বারবার আবেদন করলেও পরীক্ষা হচ্ছে না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিয়ম হলো শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা হবে। তাদের পরীক্ষা হচ্ছে। অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষার অনুমতি নিয়ে আসেন, পরীক্ষা নেবো। আগামী ৮ তারিখ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমি নিজে উত্থাপন করবো যেন সব বর্ষের পরীক্ষা নেয়।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম বলেন, ‘অধঃস্তন কর্মকর্তারা কাজ করছেন না, তিনি কীভাবে বললেন জানি না। কাজ যদি কেউ না করেন, তাহলে কাজগুলো তো এমনি এমনি হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই দপ্তরের অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, নিজে দপ্তরে না এসে অন্যদের কাজের ব্যাপারে কথা বলা একদমই সমীচীন নয়। তবে দুইজন ছাড়া বাকি কর্মকর্তারা নিয়মিত কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি কন্ট্রোলারকে বলেছি অফিস করার জন্য, তিনি আমার কাছে ব্যক্তিগত গাড়ি চেয়েছেন। কিন্তু তার জন্য প্রতিদিন গাড়ি সরবরাহ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সম্ভব না।’