সিইসি কেএম নুরুল হুদাসহ তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন বিএনপিপন্থী ১০১ জন আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়াসহ ১০১ আইনজীবীর স্বাক্ষরিত আবেদন মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পৌঁছানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
আবেদনে বর্তমান সিইসিকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখে তদন্তকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনের জন্য একজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
আবেদনে প্রশিক্ষণ বাজেটের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কমিশনারদের গাড়ি ব্যবহার, ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে গুরুতর অনিয়ম, বিভিন্ন নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্লিপ্ততা ও ব্যর্থতা, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা ও বিশেষ বক্তা হিসেবে দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অভিনব কৌশলে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিজেরা লাভবান হওয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে নৈতিক ও সাংবিধানিক ভিত্তি হারিয়েছে। এসব অভিযোগের সুরাহা না হলে সাংবিধানিক এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি।
সিইসি কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য গত বছর ১৪ ডিসেম্বর এবং গত ১৭ জানুয়ারি দু’দফায় চিঠি দেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাতিল সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনীর মামলার রিভিউ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। রিভিউ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে বিষয়টির চূড়ান্ত সমাধান হবে।