টি-টেন ক্রিকেটে অংশ নিতে প্রথমে আরব আমিরাতে ঢুকতেই পারেননি পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। আমিরাতের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর থেকেই পাকিস্তানে ফেরত যেতে হয় এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে।
দেশে ফিরে নতুন করে ভিসা লাগিয়ে ফের বিমানে উড়ে কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামেন আফ্রিদি। আর লড়াইয়ে নেমেই বাজিমাত করেন বুমবুম খ্যাত এই তারকা অলরাউন্ডার। ১৬ রানের খরচায় নেন প্রতিপক্ষে দুই তারকা ওপেনারের উইকেট।
শনিবার টিম আবুধাবির দুই তারকা ওপেনার ক্রিস গেইল ও ফর্মের তুঙ্গে থাকা আইরিশ ওপেনার পল স্টারলিংয়ের উইকেট শিকার করেন আফ্রিদি।
এমন পারফরম্যান্স দেখিয়ে আফ্রিদি এটাই জানান দিলেন, বুড়িয়ে গেলেও ফুরিয়ে যাননি তিনি। বয়সকে শুধুই সংখ্যা বানিয়ে ছেড়েছেন। চাইলে ২২ গজের মঞ্চে আরও অনেকদিন দাপট দেখাতে সক্ষম ৪১ ছুঁইছুঁই এই তারকা।
তবে চল্লিশ পেড়িয়েও আফ্রিদি চান আরও দু-এক বছর খেলা চালিয়ে যেতে।
শনিবার পুরস্কার নেওয়ার পর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর প্রশ্নে আফ্রিদি বলেন, ‘ভক্তদের ভালোবাসার মূল্য দিতেই আরও দু-এক বছর খেলে যাব। ভালো ব্যাপার হলো, আমি এখনও ক্রিকেট উপভোগ করছি। ক্রিকেট ও আমার ভক্তদের নিয়ে আমার আবেগ এখনও তীব্র। তারা আমাকে ক্রিকেট খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের জন্যই আমি ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি। যদিও ক্রিকেট খেলতে হলে শতভাগ নিবেদন থাকা উচিত এবং ফিট থাকা উচিত। কারণ খেলাটি দক্ষতা ও পরিশ্রমের। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভক্তদের হতাশ না করতে।’
শনিবার দুর্দান্ত বল করে দল জিতিয়ে ম্যাচসেরা হন আফ্রিদি।
প্রসঙ্গত, শহীদ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই। যদিও সেটি করেছেন কয়েক দফায়, কয়েক ধাপে। এরপর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মাতাচ্ছেন নিয়মিত। টি-টেন টুর্নামেন্টের আগে আফ্রিদি গত নভেম্বরে খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগ ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে।