‘মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় শেরপুরেও ২৯১টি গৃহহীন পরিবারকে সেমি পাকা ঘর ও ২ শতাংশ করে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।আজ শনিবার(২৩জানুয়ারী) সকালে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শেরপুরের প্রতিটি উপজেলায় এসব ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়।
শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের চাবী ও দলিল হস্তান্তর করেন স্থানীয় সাংসদ ও সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
শেরপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুনের সঞ্চলনায় এসময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব , স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম , অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুক্তাদিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা ,প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলার ৫ উপজেলায় প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিক্সাচালক, দিনমজুর, বিধবা, কাজের মহিলাসহ ২৯১টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ সেমি পাকা ঘর। ইতোমধ্যে ২০৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দুটো বেড রুম, একটা রান্না ঘর, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমির মালিকানাসহ নির্দিষ্ট ডিজাইন ও মানসম্মতভাবে সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের দুর্যোগ সহনীয় ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমাপ্তির পর স্থানীয়ভাবে জমির দলিল ও ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।