নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একরামুল করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করায় এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং একরামুল করিম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
এসময় আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা না পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোয়াখালীর সংসদ সদস্য, মাতাল একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের প্রিয় নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জননেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবকে রাজাকারের পরিবারের সদস্য বলায় আজকে পুরো কোম্পানীগঞ্জ উত্তাল। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, যদি তাকে দল থেকে বহিষ্কার না করা হয়, যদি নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধ করা না হয়, যদি প্রশাসনে তার খবরদারি বন্ধ না করা হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে।’
অপরদিকে কয়েকদিন ধরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার সাড়ে ১১টায় জেলা শহর মাইজদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে একরামুল করিম চৌধুরীর সমর্থক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত কয়েকদিন থেকে আব্দুল কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শামছুউদ্দিন জেহানকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে আসছে। মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।
প্রধান সড়কে মিছিল শেষে পৌর বাজারের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর যুবলীগ নেতা ইমাম হোসেন রাসেল, কাজী ইয়াছিন, জেলা যুবলীগের নেতা হামিদুর রহমান হিমেল ও ইয়াছিন আলম রকিসহ নেতাকর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা।