ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্রামীণ ফোনের স্ক্র্যাচ কার্ডের দরকষাকষি নিয়ে আবু সাঈদ আহমেদ অন্তর (২২) নামে এক গ্রামীণ ফোন কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটাল দোকানদার হৃদয় (২৩)। এ ঘটনা আহত আবু সাঈদ আহমেদ অন্তরকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জমিরদিয়া মায়ের মসজিদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আবু সাঈদ আহমেদ অন্তর ভালুকা গ্রামীণ ফোন ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে সেলস্ এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকরী করেন। সে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার নাসির উদ্দিনের ছেলে। চাকরীর সুবাদে ভালুকা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের প্রশিক্ষার মোড় এলাকায় বসবাস করতেন।
ঘাতক হৃদয় উপজেলার জমিরদিয়া মায়ের মসজিদ বাজারের হৃদয় টেলিকম এন্ড কসমেটিকস্ দোকানের মালিক। সে গফরগাঁও উপজেলার আসাদ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আবু সাঈদ আহমেদ অন্তর বাদী হয়ে ভালুকা থানায় হৃদয়ের নামে ও অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভালুকা থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভালুকা গ্রামীণ ফোন ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের সেলস্ এক্সিকিউটিভ আবু সাঈদ আহমেদ অন্তর উপজেলার জমিরদিয়া মায়ের মসজিদ বাজারের হৃদয় টেলিকম এন্ড কসমেটিকস্ দোকানে গ্রামীণ ফোনের স্ক্র্যাচ কার্ড বিক্রি করতে যায়। এ সময় হৃদয় স্ক্র্যাচ কার্ডের দরদাম করে নেয়। স্ক্র্যাচ কার্ডের দাম দেয়ার সময় হৃদয় নির্দিষ্ট দামের চাইতে কম টাকা দিতে চায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হৃদয় হাতুড়ি দিয়ে আবু সাঈদ আহমেদ অন্তরের মাথায় আঘাত করে। এ সময় অন্তর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হৃদয় ও তার সহযোগীরা অন্তরের ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মুল্যের স্ক্র্যাচ কার্ড নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা অন্তরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্তরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ওসি মাইন উদ্দিন আরো বলেন, পুলিশ অভিযুক্তদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।