কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার চরসাজাই নয়াপাড়া গ্রামে স্ত্রী শাহিনা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বকুল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এই রায় দেন। রায়ে মামলার অপর আসামি নুরন্নাহারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের দিকে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কারখানা পাড়া (ডাংধরা) এলাকার শামছুল হকের কন্যা শাহিনা বেগমের (২০) এর সঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার চরসাজাই নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আজিজল হকের ছেলে বকুল মিয়ার (২৫) বিয়ে হয়। বকুলের সঙ্গে তার বড় ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুরন্নাহার বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভাবীর সঙ্গে স্বামীর এই অবৈধ সম্পর্ক টের পেয়ে শাহিনা বাধা দিলে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এরই জেরে ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্ত্রী শাহিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের ভেতর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়। পরে ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যার রিপোর্ট আসলে শাহিনার বাবা শামছুল হক বাদী হয়ে বকুল ও নুরন্নাহারকে আসামি করে ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার বিচার চলাকালে ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মুহা. ফখরুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।