দুইজনই বিবাহিত। তার ওপর আবার উভয়েই আবার এক সন্তানের জনক ও জননী। কিন্তু তারপরও পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পর পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেয়ায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, এক বছর আগে উপজেলার উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এক সন্তানের জনক আজিজুল হকের (৩০) সাথে পাশের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে এক সন্তানের জননী কেয়া আক্তার টপির (২২) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
একপর্যায়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। কয়েক মাস সংসারও করেন। এরপর চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতেই বাড়ি আসেন। কিন্তু তাদের এই বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানায়।
পরবর্তীতে এনিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস বৈঠক করা হলেও সমঝোতা হয়নি। এতে ক্ষোভ ও অভিমান করে গত রোববার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাড়ির পাশের অবস্থিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সামনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এই প্রেমিক যুগল।
একপর্যায়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কেয়া আক্তার টপিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজিজুল হক।
শেরপুর থানার এসআই আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।