ময়মনসিংহে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। ময়মনসিংহ থেকে শ্রীমঙ্গল, খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে শীতের মধ্যেই দেশে আসছে বছরের প্রথম বৃষ্টিবলয়। তবে এই বৃষ্টি বলয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের পূর্ব অংশ, রংপুর বিভাগ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, রোববার (১৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৪, সিলেটে ১২, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৬, রংপুরে ১১, খুলনায় ১২ দশমিক ৬ এবং বরিশালে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, সোমবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কারণ কুয়াশা আছে, সূর্যের দেখা মিলছে না, এ জন্য শীতের অনুভূতি থাকবে। আর মঙ্গলবার অথবা বুধবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ কাটতে শুরু করবে। জানুয়ারি মাসের পুরোটাই শীতকাল। তাই এই মাসে শৈত্যপ্রবাহ থাকুক আর নাই থাকুক শীত থাকবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ চলতি মাসের বাকি সময়-জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে। মাঝে ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বাতাসে জলীয় বাষ্প ও আকাশে মেঘ বেড়ে যেতে পারে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে, তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। এরপর তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকবে।
এদিকে গুগল ওয়েদারে ১৯ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক এলাকায় বেশি সক্রিয় থাকবে বৃষ্টিপাতের মেঘ। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের পূর্ব অংশ, রংপুর বিভাগ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সে সময় ঢাকা বিভাগে গড়ে ০ থেকে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৫ থেকে ২৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ থেকে ৩০, সিলেট বিভাগে ৮ থেকে ২৫, রংপুর বিভাগে ০ থেকে ১৫, রাজশাহী বিভাগে ০ থেকে ১, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ থেকে ৮ ও খুলনা বিভাগে ১ থেকে ১৬ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।