ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারকাজে বাঁধা প্রদান, পোস্টার ছিড়ে ফেলা ও সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলা ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির মেয়র পদ প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডের এক বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আমি যখন প্রচার কাজে অংশ নেই তখনই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় গতিরোধ করে। আমাদের কর্মীদের মারধর করে লিফলেট ছিনিয়ে নেয়। প্রতিদিনই ধানের শীষের মাইকিংসহ প্রচার কাজে বাঁধা দিচ্ছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিও দিচ্ছে।’ তিনি জানান, সোমবার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নন্দিবাড়ি ও বড়হিস্যা বাজার মেইনরোডে ধানের শীষের প্রচারনাকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মীরা হামলা চালায়। এতে বিএনপি সমর্থক কাজী রিপন, জাবেদ সজীব ও তারা মিয়া মারাত্মকভাবে আহত হন। এদের মধ্যে কাজী রিপন ও তারা মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি যাতে পৌর এলাকায় ধানের শীষের কোনো নির্বাচনী অফিস চালু করতে না পারি এবং আমার নেতাকর্মীরা যেন একত্রিত হতে না পারে সেজন্য সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা বাঁধার সৃষ্টি করছে।’ তিনি হামলাকারিদের বিরুদ্ধে দ্রsত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রতন, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হারুন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত রানা, শ্রমিকদলের জেলা সভাপতি মফিদুল ইসলাম মোহন, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, যুবদলের জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম রাজুসহ দলীয় নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। ##