ভোলায় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে বেধড়ক মারধর করেছেন পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহে আলম। পরে তাকে থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় রোববার রাতেই এএসআই শাহে আলমকে ক্লোজ করা হয়েছে।
আহত আওলাদ হোসেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। রোববার বিকেলে শহরের বাংলাস্কুল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। েএ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
আওলাদ ও তার ভাই মো: আব্বাস উদ্দিন জানান, আওলাদ ও তার এক বন্ধু দুটি আলাদা মোটরসাইকেলে বোরহানউদ্দিন থেকে ভোলা জেলা শহরে আসেন। শহরের বাংলাস্কুল মোড়ে পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেকিংকালে আওলাদের কাগজপত্র ঠিক থাকায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার বন্ধুর হেলমেট না থাকাসহ কাগজে কিছু অসঙ্গতির জন্য মোটরসাইকেল আটকে রাখে পুলিশ।
এ সময় আওলাদ সেটি ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এএসআই শাহে আলম। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এএসআই শাহে আলম আওলাদের উপর চড়াও হন। তার গলার মাফলার ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে থাকেন। পরে তাকে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে আওলাদ হোসেনকে এভাবে মারধরের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সেসময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ। যা মুহূর্তের মধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভোলা মডেল থানার ওসি মো: ছগির মিঞা জানান, এএসআই শাহে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আওলাদ হোসেনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিমাংসা হয়েছে। এখন তারা বাড়ি চলে গেছেন।
অপরদিকে এএসআই শাহে আলম এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
তবে জেলা পুলিশ সুপার মো. মুক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় রাতেই এএসআই শাহে আলমকে ক্লোজ করা হয়েছে।