করোনাভাইরাসের কারণে ক্লাবগুলোর ভ্রমণ কমাতে এবার ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামসহ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, নীলফামারীর শহীদ শেখ কামাল স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে।
গত মৌসুমে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু করেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এবারও তাদের লক্ষ্য ছিল ঢাকার বাইরে থাকা। নরসিংদী স্টেডিয়ামের পরিবর্তে এখন তারা হোমভেন্যু করতে চেয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং ঢাকার কাছাকাছি আরও তিনটি ভেন্যুকে এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের জন্য চূড়ান্ত করেছিল ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ না করে ভেন্যুর তালিকায় রেখেও শেষ মুহূর্তে বাদ দিতে হয়েছে নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামকে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এই স্টেডিয়ামকে হোমভেন্যু করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে খেলার উপযুক্তই নয় স্টেডিয়াম, চলছে সংস্কার কাজ।
তাহলে কি এবার তিনটি ভেন্যুতেই খেলা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা বাফুফের। কারণ, তারা চারটি ভেন্যুতেই প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে চায়। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামকে বাদ দিয়েছিল কিছু সমস্যা থাকায়। নরসিংদী বাতিল হওয়ায় সেই আর্মি স্টেডিয়াম পেতে আবার দেন-দরবার শুরু করেছে বাফুফে। দুই একদিনের মধ্যে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটির কর্মকর্তারা।
এবার প্রিমিয়ার লিগের নতুন ভেন্যু হয়েছে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম। ভেন্যুর তালিকায় এ স্টেডিয়াম যোগ হলেও শুরুতে কোনো ক্লাবের আগ্রহ ছিল না সেখানে হোমভেন্যু করার। শেষ পর্যন্ত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের হোমভেন্যু হতে যাচ্ছে টঙ্গীর স্টেডিয়ামটি।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবীর বলেছেন, ‘আমরা টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেয়িামের যে কোনো একটি হোমভেন্যুর জন্য আবেদন করেছি। এখন বাফুফে যে স্টেডিয়ামে আমাদের দেয়।’
বাফুফে থেকে জানা গেছে, অন্য কোনো দল টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম চায়নি বলে আপনাদেরই দিচ্ছে? এমন প্রশ্নে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বাফুফে। যদি আমাদের টঙ্গীর স্টেডিয়াম দেয়, তাহলে ভালোই হবে।’
গত মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র গত মৌসুমে হোমভেন্যু করেছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে। এ ভেন্যুটি বাতিল হওয়ায় তারা এবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম চেয়েছে। আবাহনী আগের মতোই থাকবে দেশের প্রধান এ স্টেডিয়ামে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে হোমভেন্যু করার আবেদন করেছে।
চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের গত মৌসুমে হোমভেন্যু ছিল নীলফামারীর শহীদ শেখ কামাল স্টেডিয়াম। ভেন্যুটি বাতিল করায় এবার তারা মোহামেডানের সঙ্গে যৌথভাবে ঘরের মাঠ বানাচ্ছে কুমিল্লার ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামকে।
গত মৌসুমে মোহামেডানের কল্যাণে এ স্টেডিয়ামটি অভিষেক হয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু হিসেবে। এবার দুই দলের হোমভেন্যু সদ্য প্রয়াত ফুটবলার বাদল রায়ের শহরের স্টেডিয়ামটি। গত মৌসুমে যার উদ্যোগেই মোহামেডান নিজেদের ঘরের মাঠ বানিয়েছিল ভেন্যুটিতে।