হাওড়-বাওড় ধানের জেলা নেত্রকোনায় কয়েক দফা বন্যার পরও আমনের ব্যাপক আবাদ হয়েছে এবার। সেইসঙ্গে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। এদিকে, জেলার ১০ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ও চাল কেনা শুরু হয়েছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমান সদর খাদ্য গোদামে আজ রোববার সকালে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান-চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জয়নুল আবেদীন, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এইচ আর খান পাঠান সাখি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা রায়, কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক এস এম সালাউদ্দিন জুয়েল, সদর খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমরুল কায়েস প্রমুখ।
নেত্রকোনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা জানান, জেলায় ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাল ২৬ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন এবং ধান চার হাজার ৩৯২ মেট্রিক টন। চাল সিদ্ধ প্রতিকেজি ৩৭ টাকা, আতপ ৩২ টাকা প্রতিকেজি এবং ধান প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি আমন মৌসুমে এবার জেলায় এক লাখ ৩৪ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় তিন লাখ ৫২ হাজার ৮১৭ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে জেলার ১০টি উপজেলায় ধানকাটা শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এইচ আর খান পাঠান সাখি বলেন, ‘সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযান শুরু হওয়ায় জেলার কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাবে। তবে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যে বরাদ্দকৃত চাল দিলে মিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার পরও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আপৎকালীন মজুদ বাড়ানোর জন্য ধান ক্রয়ের মাধ্যমে মিলগুলিোচালু করে চাল দেবে মিলাররা।’