ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসের বাস ময়মনসিংহে আটকে দেয়ার প্রতিবাদে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সকল বাস আবারও বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিক ও মালিকরা। রবিবার সকাল থেকে কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ১২ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো দূরপাল্লার সকল বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, বছর কয়েক আগে শহরের নবীনগর অস্থায়ী বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-শেরপুর রুটে ড্রীমল্যান্ড নামে একটি বাস সার্ভিস চালু ছিল। ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসটি বন্ধ হওয়ার পর সোনার বাংলা সার্ভিস নামে অনেকগুলো বাস শেরপুর-ঢাকা যাতায়াত করে। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বাস মালিকরা ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসটিকে কিছুটা উন্নত করে রবিবার থেকে গেট লক হিসেবে নতুন ভাবে চালু করে।
কিন্তু শেরপুর থেকে ঢাকা যাবার পথে ময়মনসিংহে ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসের বাসগুলোকে আটকে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলাসহ সকল ধরনের বাস শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থিত নবীনগর অস্থায়ী বাস টার্মিনালে আটকে দেয় মালিক ও শ্রমিকদের একাংশ।
এদিকে, কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বাস টার্মিনালে গিয়ে বাস চলাচল বন্ধ দেখে শতশত মানুষ বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২২ ডিসেম্বর সোনার বাংলা সার্ভিসের চালক ও হেলপারকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় চারদিন শেরপুর-ঢাকায় কোনো গাড়ি চলেনি। প্রশাসন ও পুলিশ অনেক দেন-দরবার করে ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির এক সভা শেষে বাস চালুর ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়
এর আগে, শহরের নবীনগর অস্থায়ী বাস টার্মিনালে সোনার বাংলা সার্ভিসের বাসের এক শ্রমিক ও চালককে লাঞ্চিতের অভিযোগে গত বুধবার বিকেল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। শেরপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাস চলাচল করতে পারছে না।
বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি গৌতম সাহা জানান, ময়মনসিংহে শেরপুর-ঢাকা গামী ড্রীমল্যান্ড আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শেরপুর-ঢাকাগামী সোনার বাংলা চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
শেরপুর সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকল পক্ষের সাথেই পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।