সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুরারী চাঁদ (এমসি) এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল আজ ৩ জানুয়ারি। এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৮ আসামিকেই আজ রবিবার আদালতে হাজির করা হয়।
তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এই মামলার শুনানিকালে অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি (নারাজি) জানাতে আদালতের কাছে সময় চেয়েছে আসামিপক্ষ। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের সময় প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক। আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।
অপরদিকে, রবিবার আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি। তবে তার আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যারাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গনে স্বামীকে আটকে প্রাইভেট কারের ভেতর সংঘবদ্ধভাবে গৃববধূ (২৫)-কে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী।
ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদি হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরবর্তীতে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসু। গ্রেফতারের পর তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সকলেই দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।