বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতিন। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারই স্ত্রী ফৌজিয়া খানম। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ৩১ ডিসেম্বর তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার আনিসুর রহমান কবীরের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। আসন্ন পৌর নির্বাচনে স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বিষয়টি ভোটারদের মধ্যে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রার্থী ফৌজিয়া খানম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। খুব কাছ থেকে তিনি তার স্বামীর জনসেবা করা দেখেছেন। তারও ইচ্ছা জনসেবা করার। এজন্য এবার তিনি একই পদে স্বামীর সঙ্গে প্রার্থী হয়েছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়বেন।
স্ত্রীর প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মতিয়ার রহমান মতিন বলেন, তার শখ হয়েছে, তিনি ভোট করবেন। তাই বাধা দেয়নি।
স্বামী-স্ত্রী মিলে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম প্রামানিক বলেন, ‘বিএনপি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা চলমান রয়েছে। যাচাই-বাছাইকালে হয়তো তার মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে, এমন আশংকায় হয়তো তিনি স্ত্রীকেও প্রার্থী করেছেন।
শিবগঞ্জে বিএনপির পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এবিএম কামাল সেলিম বলেন, বিএনপির দলীয় প্রার্থীর স্ত্রী কী কারণে প্রার্থী হয়েছেন, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনাও হয়নি।
শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান কবীর বলেন, মেয়র পদে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতিন ও তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া খানম দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন, তৌহিদুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ), আবদুল মান্নান (বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ), আবদুল গাফফার (বিদ্রোহী বিএনপি), সিরাজুল ইসলাম (জাগপা)। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১জন ও পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
উল্লেখ, রবিবার (৩ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ১০ জানুয়ারি প্রত্যাহার এবং ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।