আগামী ফেব্রয়ারিতে ৩৬ বছর বয়সে পা দিবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই বয়সে অনেক ফুটবলার বুটজোড়া তুলে রেখে অবসর সময় কাটান।
তবে সিআর সেভেন ভক্তদের চিন্তা নেই। এখনই অবসরের চিন্তা করছেন না পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা। এমনিতে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবলে দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন তিনি। সামনেও আরও অনেক বছর খেলে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন রোনালদো। সেই ‘স্বপ্ন’ পূরণ করতে চান বিশ্বকাপ জিতে।
চলতি মৌসুমের সিরি’আ লিগে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন রোনালদো। অবশ্য তার দল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জুভরা আছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। তাদের পয়েন্ট ২৬। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এসি মিলান।
এমনিতে অসংখ্য রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন রোনালদো। এবার তার সামনে আরেকটি মাইলফলকের চূড়ায় উঠার হাতছানি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০৯ গোল নিয়ে শীর্ষে থাকা ইরানের আলী দায়ীর রেকর্ড ভাঙার জন্য পর্তুগিজ উইঙ্গারের দরকার আর মাত্র ৭ গোল।
তবে তার এখন যে বয়স, সেটাও বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু বয়স নিয়ে একদম ভাবছেন না রোনালদো। জুভ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘বয়স কোনও ব্যাপার না। যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল মন। রোনালদো ভাল আছে কিনা তা কোনও বিষয় নয়। আপনি জানেন না আগামীকাল কি হতে যাচ্ছে। আমি বর্তমানে বাস করি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘মুহূর্তটা ভাল যাচ্ছে। আমি সুখে আছি। আমি জীবনে খুব তীক্ষ্ণ ও ভাল সময় অনুভব করছি। আমি আরও অনেক অনেক বছর খেলতে চাই। ফুটবলে, আপনি জানেন না আগামীকাল কি হতে যাচ্ছে। যখন আমি তরুণদের সঙ্গে কথা বলি, তাদের সবসময় বলি, মুহূর্তটাকে উপভোগ করো। কারণ আমরা কখনও জানব না, কি ঘটতে চলেছে। আমার চোখ খুব খুব উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে দেখে। তাই আমি এসবে আনন্দিত। ’
রোনালদোর বিষ্ময়কর ক্যারিয়ার শুরু হয় লিসবনের ক্লাব স্পোর্টিংয়ে। যেখানে ২০০২ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ৩১ গোল করেন তিনি এবং ১৮ বছর বয়সে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
রেড ডেভিলদের হয়ে ৬ বছর কাটিয়ে এবং ২৯২ ম্যাচ খেলে ২০০৯ সালে রোনালদো যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার আগে ৯ বছর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাটান তিনি।
বিশ্বকাপ ছাড়া প্রায় সব শিরোপা জিতেছেন তিনি। ২০১৬ সালে দেশকে ইউরো জেতান রোনালদো। তবে তাতেই সন্তুষ্ট নন তিনি। পর্তুগালকে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখেন জুভ তারকা। তবে আগামী বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে রোনালদোর বয়স হবে ৩৭।