৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সরকার গঠনের পর জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী (মহিলা) আসনে কারা থাকছেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী এমপিরা এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন। গঠন করা হয়েছে মন্ত্রিসভা। ২৫৭টি আসনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৩০ জানুয়ারি শুরু হবে। অধিবেশনের আগেই সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের সদস্যরা নির্বাচিত হতে পারেন বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) থেকে মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু করবে বলে দলটি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৩টিই পাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পাবে ৪টি।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট জেসমিন সুলতানা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য, সাবেক সহ- সভাপতি মহিলা আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ।
তিনি দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদেরকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তৃণমূলে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
মনোনয়নের বিষয়ে এডভোকেট জেসমিন সুলতানা বলেন, আমি সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করে যাবেন। একই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে দলকে তৃনমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত করতে ভুমিকা রাখব।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের ফসল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিশাল বিজয়।
মনোনয়নের বিষয়ে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুলকে বিজয়ী করতে তিনি তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে ছিলেন।
সুপ্রীম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ(সম্মান) এম.এ পাশ করেন এবং চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি সম্পন্ন করেন।