ময়মনসিংহ বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করেছেন এক লাখ ১২ হাজার ২৫৫ জন। কিন্তু দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও নানা কারণে চলতি অর্থবছরে পরীক্ষার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে করোনা সংকট ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রিট অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রে জানাযায়, সারাদেশে প্রায় ১৩ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে এক লাখ ১২ হাজার ২৫৫ জন, রাজশাহীতে দুই লাখ ১০ হাজার ৪৩০ জন, খুলনায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩ জন, ঢাকায় দুই লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬ জন, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪ জন, সিলেটে ৬২ হাজার ৯০৭ জন, রংপুরে এক লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬জন। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে, যা শুরু হয়েছিল ২৫ অক্টোবর থেকে অনলাইনে।
জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর আবেদন প্রক্রিয়া শেষে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারি নাগাদ পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে শীতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ বাতিলের দাবিতে রিট করা হয়েছে। যার ফলে এখনই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিট নিষ্পত্তি ও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে পরীক্ষা নেয়া যাবে না। তাই চলতি অর্থবছরের আগে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব কিনা সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এদিকে আগেই প্রথম দফায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনে তথ্যগত ভুল সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের ভুল সংশোধনের সুযোগ পান। নতুন করে দ্বিতীয় দফায় এ সুযোগ দেয়া হবে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
ডিপিইর সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার বলেন, ‘আবেদনকারীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে কত ধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে মোট শূন্য পদের চেয়ে প্রায় তিনগুন বেশি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম শেষ হলেও বর্তমানে সংশোধন করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় সংশোধন করার সুযোগ দেয়া হবে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’
সাত্তার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, এই অর্থবছরের মধ্যে শুরু করা সম্ভব না হলে আগামী অর্থবছরে শুরু করা হবে।’