তেল রফতানি নিয়ে ইরানকে আর কোনো রকম ছাড় দেবে না আমেরিকা। তেহরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির পর শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইরানে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক। ইরানের আয়ের উৎস নষ্ট করে দিতেই ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মে মাসে ইরান ও অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি বাতিল করে দেয় আমেরিকার। তারপর থেকেই ইরান ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এরপরেই তেল রফতানি নিয়ে তেহরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। যদিও পরে তা তুলে নেয় হোয়াইট হাউস। কিন্তু, তেল রফতানি নিয়ে ইরানকে আর কোনোরকম ছাড় দিতে নারাজ আমেরিকা।
শনিবার আবুধাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে হুক বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর থেকে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ার ভয় পাচ্ছে ইরান। আমরা চাই না তারা তেল থেকে মুনাফা অর্জন করুক। ইরানের রাজস্বের ৮০ শতাংশ আসে তেল রফতানি থেকে। আর এরাই হলো সন্ত্রাসবাদের প্রধান মদতদাতা।’
একইসঙ্গে, ইরানের থেকে চেল আমদানি কমানোর জন্য চীনের প্রশংসা করেছেন হুক। চলতি মাসে তলানিতে এসে ঠেকেছে ইরানের তেল রপ্তানির পরিমাণ। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে নতুন ক্রেতা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।