নীলফমারীর সৈয়দপুরে স্কুলকক্ষে ৫ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম। অভিযুক্ত শিক্ষক কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাবাড়ী শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: জাহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের ডাঙ্গীবাড়ী গ্রামে।
নির্যাতিত ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম জানান, আমার মেয়ে বাড়ির পাশের শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। বুধবার সকালে সে অন্যান্য দিনের মতো স্কুলে যায়। দুপুরের দিকে আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে আমাকে জানায়, জাহিদুল মাস্টার আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে অনেক বোঝাবুঝির পড়ে মেয়ে আমাকে ঘটনা খুলে বলে।
বুধবার ৫ জন শিক্ষকের স্থলে হেড মাস্টারসহ অন্য দুজন শিক্ষক ছুটিতে থাকায় দুপর দেড়টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। এসময় মাঠে খেলতে থাকা ৫ শ্রেণীর ছাত্রীটিকে রুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। আমি বৃহস্পতিবার হেডমাস্টারকে জানালে তিনি মীমাংসা করার কথা বলেন। আমি বিষয়টি এলাকার মেম্বার নুর নবীকে জানালে শনিবার সকালে শালিস মীমাংসা করার কথা বলে টালবাহান শুরু করেন। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মীমাংসা করার জন্য বার বার চাপ দিতে থাকেন। এবং আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিতে চাইলে আমাকে ভয় ভীতি দেখানো হয়।
এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল ইসলাম শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এর আগেও সে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে গেছে। কিছু দিন আগে সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড মেম্বারকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বুধবার আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে ঘটনাটি বৃহ:বার মেয়েটির মা আমাকে জানিয়েছে।
কামারপুকুর ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জানান, ঘটনার ৪ দিন পর শনিবার দুপুর ১টার দিকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: শাহজাহান মন্ডল জানান, ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনেছি। ছাত্রিটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযোগ পেলে ছাত্রীটিকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেয়া হবে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।