জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যক্রমকে আরো বেগবান ও গতিশীল করতে যুব জমিয়তকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল্লাহ্।
আজ (১৭ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের খানকায়ে হুসাইনিয়া মাদানিয়ার মিলনায়তনে,যুব জমিয়ত ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশ ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তিনি এই আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন,হক এবং বাতিলের দ্বন্দ্ব থাকবে এটা আবহমান কাল থেকেই চলে আসছে। কখনো এই হক ব্যাক্তিগতভাবে আসে আবার কখনো বাতিল ব্যাক্তিগতভাবে আসে,আবার কখনো এই বাতিল শক্তিটি সাংগঠনিকভাবেও আসে,সুতারাং তখন এই বাতিল শক্তিকে এককভাবে প্রতিহত করা সম্ভব নয়,বরং এটাকে প্রতিহত করতে হলে সাংগঠনিক কার্যক্রমের কোন বিকল্প নেই। এই সাংগঠনিক শক্তি যদি আমরা তৈরী না করতে পারি তাহলে কোন অবস্থাতেই যেই বাতিল শক্তিগুলো সাংগঠনিকভাবে আসতেছে সেগুলোর মোকাবেলা আমরা করতে পারবো না। এখন প্রশ্ন হলো যদি আসলেই সাংগঠনিক ভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই তাহলে কোন নীতির উপর হবো? এর উত্তর এভাবে হবে যে,আসলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম হলো শতাব্দীর প্রাচীনতম একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল,কিন্তু তারপরেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো এর কার্যক্রম চালানো সম্ভবপর হচ্ছে না,এর কারণ হলো অন্যন্য দলগুলোর যারা নেতৃত্বস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ আছেন তারা শুধু তার দলের গতিশীলতার জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন তাদের অন্যকোন চিন্তাভাবনা নেই দলকে নিয়েই তাদের ব্যস্ততা, কিন্তু যদি আমাদের জমিয়তের দিকে তাকানো হয় তাহলে দেখা যায় আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দগণ শুধু রাজনৈতিক ময়দানেই নয় বরং তিনি একাধারে বিভিন্ন মাদ্রাসা,বিভিন্ন ইসলামীক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত,ফলে তিনি দলের জন্য সময় খুব কমেই দিতে পারছেন,যার জন্য দলের গতিশীলতা এই দিক থেকে কমে যাচ্ছে। এখন এর উত্তরণের পথ কি,এর উত্তরণের পথ হলো আমরা যারা যুব শ্রেণী আছি আমাদের ব্যস্ততা একটু কম,তাই আমরা যুবকরা যদি একটু কাজে নেমে আসি তাহলেই কিন্তু সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো গতিশীল করা সম্ভব হবে।
মাওলানা মতিউর রহমান মামুনের সঞ্চালনায়,কর্মী সম্মেলনের আহব্বায়ক মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
তিনি বলেন,আমাদের মহাসচিব আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে আমরা আজ খুব মর্মাহত খুব ভারাক্রান্ত,আজকের এই অনুষ্ঠানেরও তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন,তিনাকে হারিয়ে আমাদের কাজের মধ্যে একটা স্থবিরতা নেমে এসেছে আজ আমরা যদি আল্লামা কাসেমীর মিশনকে বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে আমাদেরকে আবার সোজা হয়ে দাড়াতে হবে,আমরা আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে মাঠে নেমেছি এখন আমরা যদি আল্লামা কাসেমীর মৃত্যুর শোককে ভুলতে না পারি তাহলে অনেক বড় ফেৎনার আশংকা করা হচ্ছে, যা আমরা সামাল দিতে সক্ষম নই।
তিনি আরো বলেন,আল্লামা কাসেমীর মিশনের অগ্রগতির জন্য যুবকদের ভূমিকা অপরিহার্য,আজ যারা কমিটির দায়িত্বে আসবে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ হলো কুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিটি উপজেলাতে যুব জমিয়তের কমিটি গঠন করে আগামি তিন মাসের মধ্যে একটি কর্মী সম্মেলন করা,যাতে করে জমিয়তের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধিপায়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ্ সা’দী,মুফতি নাসীর উদ্দিন খাঁন,মাওলানা নূরুল আবসার মাসুম,মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম,যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা তাফহিমুল হক,মাওলানা ইসহাক কামাল,মাওলানা জাবের কাসেমী,মাওলানা আখতারুজ্জামান,মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসউদ কাফি,মাওলানা রুহুল আমীন নগরী,এবং এচ এম নুরুদ্দিন সরকার প্রমুখ।
পরে যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল,মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকিকে সভাপতি,মাওলানা আশরাফুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাওলানা মতিউর রহমান মামুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৫সদস্য বিশিষ্ট নব নির্বাচিত কমিটির নাম ঘোষণা করেন।