গতকাল শুক্রবার ভারী তুষারপাতের ফলে ইউরোপের কয়েকটি দেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তা বন্ধ হয়েছে গেছে, ট্রেন চলাচল করতে পারছে না এবং স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে ও অস্ট্রিয়া। রেডক্রস জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য বাভারিয়ায় আটকে পড়া মোটরগাড়িগুলোর চালকদের সহায়তা করছে। সেখানে গাছ থেকে পড়ে ৯ বছরের একটি ছেলে মারা গেছে।
সুইডেন ও নরওয়েতে হীমবাহ ও শীতকালীন ঝড় আঘাত হেনেছে। একটি সুইস হোটেলের সামনে অংশে হীমবাহ আগাত হেনেছে। এই দুর্যোগে সেখানকার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অস্ট্রিয়ার উদ্ধারকর্মীরা কোমর পর্যন্ত তুষারাবৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারে তার কাছে পৌঁছুতে কঠোর চেষ্টা করেন। সলোসালমবান অবকাশ কেন্দ্রের কাছে ওই ৪১ বছর বয়েসী পোলিশ নাগরিক পথ হারিয়ে ফেলেন।
তবে কয়েক দিন ধরে কয়েক মিটার করে তুষারপাত হওয়ার পর গতকাল অস্ট্রিয়ার কয়েকটি অংশের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। গত সপ্তাহে দেশটিতে তুষারপাতে সাতজন প্রাণ হারান এবং দুই সাইকেল আরোহী নিখোঁজ হন।
অস্ট্রিয়ার আবহাওয়া ও জিওডাইনামিক ইনস্টিটিউশনের আলেক্সান্ডার রাডলার বলেন, ৮০০ মিটার উঁচুতে প্রতি ৩০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একবার এমন তুষারপাতের ঘটনা ঘটে থাকে। বরফের ভারে যাতে গাছ উপড়ে সড়ক বা রেললাইনের ওপর না পড়ে সেজন্য অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনী তুষার সরাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে।
ঝড়ে সুইডেনের উত্তরের কয়েকটি অঞ্চলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ১১১ মাইল বেগে ঝড়ে দেশটির নরওয়ে সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুষারপাত ও ঝড়ের কারণে জার্মানির মিউনিখের ৯০টি এবং ফ্রাঙ্কফুটে অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সেখানে অনেক কার ও বাস তুষারের তলে চাপা পড়েছে।