আহমদ শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন হেফাজতে ইসলামের একাংশের নেতারা। আল্লামা শফির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
১৬ ডিসেম্বর একটি আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আহম্মদ শফির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।’ এসময় অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি।
এদিন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দীন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে আল্লামা আহমদ শফিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে, এমন দাবি করেন তিনি।
হেফাজত ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহম্মদ শফির শেষ তিন দিনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলেম-ওলামারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা, ভাঙচুর হয়েছে। আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে।
গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ। তদন্ত হলে কাদের এত ভয়! সমস্যাটা কোথায়। প্রশ্ন তোলেন আলেম-ওলামারা। সরকারের কাছে তদন্ত করারও দাবি জানানো হয়।
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে ১০৩ বছর বয়সে শাহ আহমদ শফি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।