মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন ‘জয় বাংলা চত্বর’রের উদ্ধোধন হয়েছে। এর ফলে আজ বুধবার বিজয় দিবস থেকেই সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চত্বরটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে জয় বাংলা চত্বরের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মো: জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল হক শামীম (সিআইপি), ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বেদী, সীমানা-প্রাচীর নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের ‘জয় বাংলা চত্বর’রের উদ্ধোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে পারবে মানুষ।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, এ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। যা ৩০ লাখ শহীদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতিকৃতির ডান প্রান্তে থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্মরণীয় উক্তি, আর বাম পাশে থাকবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী। চত্বরের বাম পাশে রয়েছে সাতটি সিঁড়ি। এর মাধ্যমে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বোঝানো হয়েছে। আর ডান পাশে রয়েছে ছয়টি সিঁড়ি। যার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ছয় দফা আন্দোলনকে’। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পেছনে রোপণ করা হয়েছে সাতটি পাম গাছ। যা সাত বীরশ্রেষ্ঠের আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করবে। প্রতিকৃতির সামনে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভ। যা ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দীর্ঘ নয় মাসে অর্জিত স্বাধীনতার কথা বিবেচনায় প্রতিটি স্তম্ভের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে নয় ইঞ্চি।’
‘জয় বাংলা চত্বর’রের নকশা পরিকল্পনা ও নির্মাণ করেছেন অনুপম সরকার জনি।