প্রখ্যাত ইসলামপ্রচারক জাকির নায়েককে ভারতের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ওই দেশে বসবাসকারী জাকির নায়েককে প্রত্যর্পণের জন্য আরো নথি ও প্রমাণ চাই। জাকির নায়েককে ফিরিয়ে আনতে বছরখানেক আগে আবেদন করেছিল দিল্লি। কিন্তু মালয়েশিয়ার ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সম্প্রতি ভারত সফরে এসে বলেন, ‘‘বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে ভারতের কাছ থেকে আরো তথ্যপ্রমাণ চাই।’’
২০১৬ সালে ঢাকার গুলশনে হামলাকারী উগ্রবাদীদের কয়েকজন জাকির নায়েকের প্রচারে প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় জাকির নায়েক ওই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘‘আমি শান্তির দূত, কখনো সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দিইনি।’’
ভারত ইতোমধ্যেই জাকির নায়েক এবং তার পিস টিভিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সেই থেকে বিদেশেই আছেন জাকির নায়েক। আপাতত তিনি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ইউএপিএ-সহ ফৌজদারি দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
২০১৭ সালে জাকিরের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির আবেদন জানায় ভারত। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাকেও ধাক্কা দিয়ে ইন্টারপোল জানিয়ে দেয়, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ দিতে পারেনি দিল্লি। আইনি প্রক্রিয়াও ঠিক ভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
এ বার আনোয়ার ইব্রাহিমের বক্তব্যও হতাশ করল দিল্লিকে। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, মালয়েশিয়া সরকারের গোটা বিষয়টি আরো ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের অনুরোধের দিকটিকে আমরা সম্মান করছি। কিন্তু আমাদেরও আইন-কানুন রয়েছে।’’