কৈশোরে খুনের হাতেখড়ি, যৌবনে পাপ্পুর ৪ খুন

২০০১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে রুবেল হত্যার মধ্য দিয়ে খুনের হাতেখড়ি। ২০০৪ সালে তল্লার সবুজবাগ ৪ তলার ভিতরে মুরাদ নামে এক যুবককে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে লাশ রাখার অভিযোগ উঠে। এরপর ২০০৯ সালে খানপুরের খোকন ও সোহাগকে খুন করে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ফেলে রাখার সাথেও জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও ২টি মাদক মামলা। ছিল যাবজ্জীবন সাজার রায় ও গ্রেফতারী পরোয়ানা। এত কিছুর পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল দুর্ধর্ষ কিলার মেহেদি হাসান পাপ্পু।

অবশেষে পুলিশের অভিযানে ধরা পরতে হয়েছে ফতুল্লা থানায় তালিকাভুক্ত দুর্ধর্ষ এই আসামিকে। গ্রেফতারকৃত মেহেদি হাসান পাপ্পু (৩৪) ফতুল্লার তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার কাজি মাহবুব মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশনায় ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সরকারসহ থানার এসআই আশিষ কুমার দাস ও এসআই খন্দকার আবু এহসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আবু এহসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি মেহেদি হাসান পাপ্পুকে তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব খুন ও মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আসামি বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। একটি খুনের সঙ্গেও আমি জড়িত নই।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত মেহেদি হাসান পাপ্পু ২০০১ সালে রুবেল নামের এক লোককে তল্লা ছোট মসজিদ সংলগ্ন মাঠে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ২০১৭ সালে তাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া খানপুরের সোহাগ এবং খোকন নামের দুইজনের হত্যা মামলায়ও সে আসামি। পাশাপাশি তল্লার সবুজবাগে মুরাদ নামের এক ছেলেকে হত্যার অভিযোগও তার উপর রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলাও অভিযোগ রয়েছে।

Share this post

scroll to top