নেত্রকোণার পূর্বধলার সেলিনা গণধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির সবাইকে বেখসুর খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলাসূত্রে জানাযায়, গত ২০০২ সালে ভিকটিম সেলিনা ও তার মা মােছাঃ খােদেজা খাতুন এবং বােন জামাই বন্ধু মিয়াসহ রিক্সাযােগে বিগত ২০/০৭/২০০২ ইং তারিখে রাত্রি অনুমান সাড়ে এগারটার দিকে পূর্বধলা গ্রামের কুমারখালী নামক স্থানে ব্রীজের উপর পৌছাইলে ০৫ জন আসামী ছুরি ও ডেগার দেখাইয়া তাহাদের রিক্সার পথরােধ করে ভিকটিম সেলিনাকে জোর পূর্বক রিক্সা থেকে নামিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে এবং পরবর্তীতে পাশ্ববর্ত একটি বিল্ডিং ঘরে নিয়ে জোড় পূর্বক গণধর্ষন করে। পরে ভিকটিম সেলিনার মা মােছাঃ খােদেজা খাতুনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে, এবং স্থানীয় স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী এখাছ, শামীম, ভিকন, টিকন, তাপস, রুপ মিয়ার নাম প্রকাশ পায়। মামলার বিচার কার্য সম্পাদন হওয়ার পর নেত্রকোনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গত ২৫/০২/২০১৫ তারিখে আসামী শামীম, ভিকন, টিন, তাপস ও রুপ মিয়াদের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৩) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন এবং পাশাপাশি প্রত্যেককে ২৫,০০০/- টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
মামলাটি ডেথ রেফারেন্স মামলা নং ১৭/১৫ হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমােদন এর জন্য লিপিবদ্ধ করার পর বিচারপতি জনাব এস.এম. এমদাদুল হক এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর আদালতে শুনানী শেষে আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল ২০২০) হাইকোর্ট বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সকল আসামীদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
আদালতে আসামী ভিকন ও টিকন পক্ষে শুনানী করেন আইনজীবী এ.এক.এম ফজলুল হক খান ফরিদ এবং আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন ডি.এ.জি. এম.এম.মােজাম্মেল হক রানা সিদ্দিকি।