(স্টাফ রিপোর্টার) : বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সিনিয় সহ-সভাপতি ও আল হাইয়্যাতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ’র কো-চেয়ারম্যান এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে লাখো মানুষের ঢল নামে জাতীয় মসজিদ এলাকায়,জনায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা অসংখ্য মুহিব্বীন,অনুসারী,ছাত্ররা।
আল্লামা কাসেমীর ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমী তার বাবার জানাজা পড়ান।
জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তার বড় ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, জাতি আজ তার এক সু-সন্তানকে হারিয়েছে।
আপনারা সবাই তার রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আল্লামা কাসেমীর সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল,তাকে হারিয়ে আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম তা ভাষায় প্রকাশ করার। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, আল্লামা কাসেমী দেশের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। উনি বাতেলের সঙ্গে আপস করেননি। কোনো হুমকি-ধামকীতে ভয় করেননি। আমরা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো ইনশাল্লাহ।
মুফতি মাওলানা শফিক আহমেদ কাসেমী, বাবুনগর মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা মামুনুল হক, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী,ময়মনসিংহের মুফতি মাহবুবুল্লাহ্ কাসেমী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামাসহ লাখো মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার পরে তার মরদেহ আল্লামা কাসেমী প্রতিষ্ঠিত জামিয়া সুবহানিয়া মাহমুদনগর, ধউর, মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৫০মিনিটে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।