এনআইডি জালিয়াতি মামলায় ডা. সাবরিনার জামিন

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্তকৃত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রোববার আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাবরিনার জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি এ মামলায় জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা থাকায় তিনি এখনই জামিনে মুক্ত হচ্ছেন না।

এরআগে ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা করা হয়।

ইসি সূত্র জানায়, ডা. সাবরিনার দুই এনআইডিতে স্বামীর নাম দু’রকম উল্লেখ আছে। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। বর্তমান তার দু’টি এনআইডিই ব্লক করে দেয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে।

অন্যদিকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভূয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

Share this post

scroll to top