নতুন নির্দেশিকা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মাস্ক পরতে হবে না। সংশোধিত গাইডলাইনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। যেসব ব্যক্তি অসুস্থ বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে, তারা শুধুমাত্র সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে বা নিজে থেকে মাস্ক খুলতে পারেন না, তাদের মাস্ক পরা উচিত নয়। সংস্থাটি জানাচ্ছে, পাঁচ বছর কম বয়সের শিশুদের মাস্ক পরানোর প্রয়োজন নেই। বরং মাস্ক পরলে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। কারণ তারা মাস্কের সঠিক ব্যবহার জানে না।
খুব ছোট শিশুদের করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তারা মাস্ক পরলে অন্যদের ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, মাস্ক পরার ও খোলার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে মাস্ক পরলে, তবেই তা পরা উচিত। মাস্কের সামনের অংশে হাত না দেওয়া, হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে তারপরেই মাস্ক পরা ইত্যাদি। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম পালন করে চলা প্রায় অসম্ভব।
সংস্থাটির দাবি, ছয় থেকে ১১ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়ম অন্য। এই বয়সের শিশুরা করোনা সংক্রমণ নিয়ে খুব বেশি জানে না। মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কেও তাদের ধারণা নেই। তাই বড়দের উপস্থিতি ছাড়া এদের মাস্ক পরানো উচিত নয়। তবে ১২ বছরের ওপরের শিশুদের বড়দের মতোই মাস্ক পরার নিয়ম ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের নিয়ম মেনে চলা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি আরও জানায়, পরামর্শ ভারি কাজ করার সময় বা শরীর চর্চা করার সময় মাস্ক পরা উচিত নয়। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।