কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মামলায় দুই ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন এবং মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া একই মাদরাসার শিক্ষক মো. আল আমিন ও মো. ইউসুফ আলীকে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তারা সবাই স্থানীয় ইবনে মাসউদ মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক।
মঙ্গলবার সকালে মামলার শুনানির পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক আদালতে এই আদেশ দেন। এ মামলায় বাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র পক্ষের অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী (পিপি)।
এর আগে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের এজলাসে হাজির করা হয় ইবনে মাসউদ মাদরাসার শিক্ষক মো. আল আমিন ও মো. ইউসুফ আলী, একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন এবং মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদকে হাজির করা হয়ে ছিল। দুই মাদরাসা শিক্ষকের সাত দিন করে এবং দুই ছাত্রের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।