পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের মর্জিনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর উপর স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর লাশ ফেলে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তার স্বামী সজীব মিয়া। এসময় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সওদপুর গ্রামের হাতিম মিয়ার মেয়ে মর্জিনা আক্তারের সঙ্গে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বাতুয়াদি গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সজীব। এতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন অত্যাচার করতেন সজীব। পরে বিষয়টি নিজের বাবার বাড়িতে জানান মর্জিনা। কিন্তু পরিবারের লোকজন বিষয়টির কোনো ধরনের কর্ণপাত করে নি। বরং সজীবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মর্জিনাকে নির্দেশ দেয় তারা। এরই মধ্যে গত রবিবার দুপুরে স্বামী সজীব মিয়ার সঙ্গে মর্জিনার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সজীব মিয়া প্রচণ্ড জোরে স্ত্রীকে থাপ্পর মারে। এতে সঙ্গে সঙ্গে মর্জিনা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানেই রবিবার রাতে মর্জিনার মৃত্যু হয়। পরে লাশ রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে একজন উপ-পরিদর্শককে পাঠানো হয়। পরে জানা যায় স্বামীর বাড়ি নান্দাইলে হলেও ঘটনাস্থল শ্রীপুর থানায়। তাই সেখানেই মামলা হবে।