বার্সা জিতবে, এটা নিয়ে কারো দ্বিমত ছিল না। বরং আলোচনা ছিল বেশি মেসিকে নিয়ে। দুটি গোল করলে মেসি স্পর্শ করবেন পেলেকে। তিনটি করলে ছাড়িয়ে যাবেন সবাইকে। হবে একটি নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক। কিন্তু কোথায় মেসি, আর কোথায় গোল। স্প্যানিশ লা লিগায় কাদিজের মাঠে শনিবার হেরেই গেছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে বার্সাকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে দীর্ঘ ১৫ বছর পর লিগে ফেরা কাদিজ। ২৯ বছর পর প্রথম বার্সাকে হারালো দলটি।
গত ২১ নভেম্বর লিগে আটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে হারের পর ছন্দে ছিল বার্সা। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছিল তারা। গোল করেছিল ১১টি, কিন্তু হজম করেনি একটিও। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচের হিসাবে গড়বড় করল বার্সা। লিগে ১০ ম্যাচে এই নিয়ে চারটিতে হারল তারা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের আট মিনিটেই বার্সাকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় কাদিজ। কর্নারে ফালোর হেড ফ্লিকে ছোট ডি-বক্সে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালের দিকেই হেড করে বসেন তরুণ ডিফেন্ডার অস্কার মিনগেসা। গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গোললাইন থেকে টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন আলভারো গিমিনেজ (১-০)।
১৭ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো বার্সেলোনা। মেসির পাস পেয়ে মার্টিন ব্রাথওয়েটের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। আট মিনিট পর মেসির ফ্রি-কিক লাফিয়ে ঠেকান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক লোদেসমা।
প্রথমার্ধের বাকি সময়েও একইভাবে প্রায় ৮০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখে বার্সেলোনা। ঘর সামলাতে ব্যতিব্যস্ত কাদিজের সব খেলোয়াড় বেশির ভাগ সময়ই ছিল নিজেদের সীমানায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে সমতাসূচক গোল পায় বার্সা। সেটাও বলতে গেলে প্রতিপক্ষের উপহার। ডি-বক্সে মেসির পাস পেয়ে বাঁ দিক থেকে জর্ডি আলবার শট ডিফেন্ডার পেদ্রো আলকালার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জড়ায় জালে (১-১)।
সমতায় ফিরে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো ৬৩ মিনিটে আরেক ভুলে আবারও পিছিয়ে পড়ে তারা। কাদিজের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন নেগ্রেদো। সমতা আনতে বাকি সময় বেশ মরিয়া ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু কাজের কাজ আর হয়নি।
লক্ষ্যে আটটি শট, বল দখল শতকরা ৮৩ ভাগ, কর্নার ১৩টি; সব হিসাবই এখন বার্সাকে উল্টা হতাশ করছে পুরোদমে।
১২ ম্যাচে পাঁচ জয় ও তিন ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে কাদিজ। সেখানে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে মেসিরা।