বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের আসামি করে শনিবার এই মামলা করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উভয়পক্ষের সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী রুমা সরদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ উল্লাস করে।
এ নিয়ে ওইদিন রাত ৯টার পর থেকে উলানিয়ার লালগঞ্জ বাজারে নৌকা মার্কার প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিমের সমর্থকদের সাথে প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থী রুমা সরদারের সমর্থদের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষ পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন ৪৬ রাউন্ড গুলি করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
দুইপক্ষের হামলায় ৭ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৩৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর ৩ পুলিশ সদস্যকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উভয়পক্ষের আহতদের মধ্যে ১০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে শনিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে উভয়পক্ষের অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি মামলা করে।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিণ ও উত্তর উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।