আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার বাংলা কাব্য সাহিত্যের মাটি ও মানুষের কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ময়মনসিংহে কবি আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবির মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কবি আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদের ব্যাপক অনুষ্ঠান করোনার দ্বিতীয় ধাপের জন্য সীমিতআকারে নেওয়া হয়েছে। এই দিন বেলা ১০টায় কবির মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পণ এবং বিকেল ৪টায় কবি ভবনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
আবদুল হাই মাশরেকী এদেশের সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষার রূপকার ও কৃষক জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারী কবি। আল্লা মেঘে দে পানি দে, আমার কাঙ্খের কলসী গিয়াছে ভাসি, বহু দিনের পিরিত বন্ধু, তারা মরে নাই তারা যে অমর, বাংলা মা তোর শ্যামল বরণসহ গ্রামবাংলার মানুষের মুখে ভেসে বেড়ানো অনেক জনপ্রিয় গানের রচয়িতা তিনি।
বাংলাসাহিত্যে লোকজ বিষয় ও শব্দ গাথুনির আধুনিক কাব্য ¯্রষ্টা আবদুল হাই মাশরেকী। তিনি আধুনিক কবিতার পাশাপাশি লিখেছেন পল্লীগীতি, আধুনিক গান, জারী, পুঁথি, গীতিনাট্য, গল্প, নাটক। করেছেন অনুবাদগ্রন্থ।
আবদুল হাই মাশকেী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঁকনহাটি গ্রামে মাতুলালয় ১৯০৯ সালে ১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ওসমান গণি সরকার। তিনি জমিদার বিরোধী আন্দোলনের তেজোদীপ্ত নায়ক ছিলেন। মাতা গৃহিনী রহিমা খাতুন। ১৯৮৮ সালে ৪ ডিসেম্বর এই দিনে দত্তপাড়া গ্রামে নিজবাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।
কবি আবদুল হাই মাশরেকীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : কিছু রেখে যেতে চাই (আধুনিক কাব্য), হে আমার দেশ (আধুনিক কাব্য), ভাটিয়ালী (গীতিনাট্য ও কাব্য), মাঠের কবিতা মাঠের গান (কাব্য), কুলসুম (গল্প) বাউল মনের নক্শা (গল্প), মানুষ ও লাশ (গল্প), নদী ভাঙে (গল্প), সাঁকো (নাটক), নতুন গাঁয়ের কাহিনী (নাটক), রাখালবন্ধু (পালাগান), জরিনা সুন্দরী (পালাগান), ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা (পল্লীগীতিকা), হযরত আবু বকর (রাঃ) পুঁথি কাব্য, দুখু মিয়ার জারী, অভিশপ্তের বাণী (খÐ কাব্য), দেশ দেশ নন্দিতা (কাব্য), কাল নিরবধী (কাব্য), হুতুম ভুতুম রাত্রি (শিশুতোষ) আকাশ কেন নীল (অনুবাদ)।