ময়মনসিংহের ত্রিশালে শহীদ সবুর উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করে নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম ও প্রবেশপত্র না পেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিন ভোক্তভোগী। এ সময় মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ সবুর উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য গত ৯ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই পদে চাকরির জন্য আগ্রহী ১৫ প্রার্থী আবেদন করেন। গত ১৮ নভেম্বর ছিল পরীক্ষার তারিখ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের চক পাঁচপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সাইবুর রহমান, বুলবুল আলমের ছেলে সাকিবুর রহমান ও সাব্বির হোসেন আকাশ, আনোয়ার হোসেনের ছেলে তাজবীদ আহম্মদও আবেদন করেন। তাদের মধ্যে সাইবুর রহমান ও সাব্বির হোসেন আকাশ নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাননি। তবে পরীক্ষার দিন সকালে প্রবেশপত্র পান সাকিবুর রহমান। প্রবেশপত্র ও নির্দিষ্ট সময়ে প্রবেশপত্র না পেয়ে পরের দিন (১৯ নভেম্বর ) সাইবুর রহমান ও সাব্বির হোসেন আকাশ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। পরে গত ২২ নভেম্বর ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ভুক্তভোগী সাইবুর রহমান, সাকিবুর রহমান ও তাজবীদ আহম্মদ বাদি হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপপরিচালক মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চল, মহাপরিচালক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগে জানা যায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যথানিয়মে প্রার্থীরা আবেদন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিলে তিনি যথানিয়মে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে তা গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন আপন চাচাতো ভাই। দুই ভাই মিলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতায় গত ১৯ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার এক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা গ্রহণ করে পছন্দের প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবীব হাছান বাবু বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতই রায় দেবেন। পরীক্ষা বা নিয়োগ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঝিল্লুর রহমান আনম বলেন, ডাকযোগে কিংবা বিদ্যালয়ের পিয়নের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার খাতায় প্রাপ্তি স্বীকারের স্বাক্ষর নিয়ে প্রবেশপত্র পৌঁছানো দরকার ছিল।